চীন‑রাশিয়া‑যুক্তরাষ্ট্র – সম্ভাব্য যুদ্ধের সম্ভাবনা ও বর্তমান উত্তেজনা

আইন অনুযায়ী সম্ভাব্য দ্বৈত সংঘাতের জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুতি নিচ্ছে, জাতীয় নিরাপত্তা প্যানেল। Meanwhile ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীন-রাশিয়ার সহযোগিতা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

---

🌐 ১. বর্তমান এ স্বীকৃত উত্তেজনার পটভূমি

• রাশিয়া ও চীনের মধ্যে ‘নো সীমা’ সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের সামরিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সমন্বয় বেড়েছে—যা পশ্চিম আবস্থার মনোযোগ আকর্ষণ করছে ।

• চীন রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতেেভিন্ন ধরনের সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করছে—যেমন ড্রোন ইঞ্জিন, মাইক্রোইলেকট্রনিক্স, প্রোপেল্যান্ট ইত্যাদি ।

• ২০২৫ সালের মে মাসে চীন রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং একটি বর্ণাঢ্য রাষ্ট্রীয় সফরে মস্কো সফর করেন, এবং সেখানে চীন-রাশিয়া সমগ্র কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করার ঘোষণা দেন ।

---

🛡️ ২. যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতির ধাক্কা

• যুক্তরাষ্ট্রে হয়ে যাওয়া স্ট্র্যাটেজিক পজিশন কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বর্তমানে বিশ্ব পরিস্থিতি এমন একটি স্তরে পৌঁছেছে যা কোল্ড ওয়ার থেকেও বিপজ্জনক হতে পারে।
  তারা একাধিক যুদ্ধের সম্ভাবনা মাথায় রেখে পরিষ্কার জানিয়েছে, ইউএসকে চীনও একই সাথে মোকাবেলা করতে প্রস্তুত থাকতে হবে রাশিয়ার মতো ।

• কমিশন পরামর্শ দিয়েছে: প্রচলিত ও পারমাণবিক শক্তির আধুনিকীকরণ, B‑21 চুপ বোমার উত্পাদন, কোলম্বিয়া‑শ্রেণির পারমাণবিক সাবমেরিনের বৃদ্ধি এবং AI‑ভিত্তিক হাইপারসনিক অস্ত্র উন্নয়নে দ্রুত এগিয়ে আসা প্রয়োজন ।

---

⚠️ ৩. রাশিয়া ও চীন: পজিশনে কি তীক্ষ্ণতর?

• রাশিয়া ইউক্রেন দখলের জন্য কঠোর অবস্থানে রয়েছ এবং তৎক্ষণাতই ceasefire শর্তাবলির প্রতি বিশ্ব নেতা শুভ গ্রাহ্য করছেন না। ট্রাম্পের প্রদত্ত আগস্ট ৮‑এর ultimatum এতদিনে বাতাসে উড়ে গেছে, কারণ পুতিন ভায়ানশন সহিংস সংস্কারে অটল ।

• চীন স্পষ্ট করে জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার পক্ষ থেকে তেল বা সামরিক বস্তুর ক্রয় বন্ধ করবে না, এমন দাবিকে মেনে নেয়া হবে না ।

---

💣 ৪. পারমাণবিক যুদ্ধ: একটি ন্যূনতম বা সীমিত নীতি?

• U.S., Russia, China সহ অন্যান্য পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো নতুন নীতি অনুসরণ করছে যার মধ্যে “limited nuclear warfare” নীতি অন্তর্ভুক্ত। যদিও ক্ল্যাসিক MAD নীতির বিপরীতে হলেও, NUTS ধরনের কৌশল নিয়ে ভাবনার উদ্ভব হয়েছে—যাতে কম‑উচ্চতার পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিশোধে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে ।

• যদিও পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি কম বলা হলেও, একবার ব্যবহৃত হলে তা বড় ধরনের দুর্যোগ বিবেচিত, এবং escalation রোধ করা কঠিন।

---

🧭 ৫. মূল বিশ্লেষণ ও সম্ভাব্য অবস্থা

বিষয়	বিবরণ
একসাথে যুদ্ধের সম্ভাবনা	যুক্তরাষ্ট্রের প্যানেল সতর্ক করে মতে, রাশিয়া ও চীন উভয়ের সঙ্গে একসাথে যুদ্ধ ভাবা সাপেক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে ।
চীন-রাশিয়ার অংশীদারিত্ব	আনুষ্ঠানিক ব্লক নয়, কিন্তু “CRINK” বা “Axis of Upheaval” আখ্যায়িত শিথিল জোট গঠন হচ্ছে, যা পশ্চিমের নিরাপত্তা কৌশল চ্যালেঞ্জ করছে ।
সামরিক শক্তির আধুনিকীকরণ	যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক ও প্রচলিত শক্তি উন্নয়নে বৃহৎ বিনিয়োগ করছে, যেখানে হাইপারসনিক, AI‑চালিত অস্ত্র নির্ভরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
উত্তেজনার ভবিষ্যত ছবি	পশ্চিম ও এশিয়া অঞ্চলে চলা প্রত্যক্ষ সংঘাত নয়, বরং proxy ও প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা এবং অর্থনৈতিক চাপ হতে পারে মূল যুদ্ধের একক উপস্থাপনা।

---

 উপসংহার

বর্তমান কূটনৈতিক ও সামরিক বিভাজনের মধ্যে, তীব্র স্ট্যান্ডার্ড হল—রাশিয়া ও চীন একে অপরের সহযোগী হলেও, তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পৃথক, স্বাধীন কৌশলও গ্রহণ করছে।
যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে দুই-সাম্রাজ্যিক শক্তির সম্ভাব্য সম্মুখ যুদ্ধে প্রস্তুত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে, বিশেষ করে পেন্টাগন পারমাণবিক ও প্রচলিত শক্তি আধুনিকীকরণের মাধ্যমে।
যুদ্ধের সম্ভবনা এখনও সরাসরি নয়, কিন্তু political miscalculation, technological accident বা regional crisis escalations একটি বড় সংঘাতের কারণ হতে পারে। এটি একটি বিপজ্জনক অধ্যায়—যে কোনো ভুল পদক্ষেপ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারে।