নতুন সাংবিধানিক পরিমন্ডলে ২০২৪ সালের ‘জুলাই বিপ্লব’কে স্বীকৃতি ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা, নির্বাচনের পথ শুরু হবে ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এ।
ঢাকা, ৫ আগস্ট ২০২৫ — এক বছরের পুরনো সেই গণ–অভ্যুত্থানের স্মরণে বাংলাদেশে সরকারি ভাবে ‘৩৬ জুলাই’ পালিত হয়, যার কেন্দ্রীয় পর্বে正式 ঘোষণা করা হয় ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় পাঠ করেন ঘোষণাপত্রটি ।
এই ঘোষণার ২৬ বা ২৮ নোট সংক্ষিপ্ত হলেও তা জাতির অর্জন ও ভবিষ্যৎ কাঠামোর রূপরেখা নির্ধারণ করছে। এতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে:
-
২০২৪ সালের ছাত্র–জনতা উত্তাল সংস্কারের দাবি।
-
শাসনিক অবদমন থেকে মুক্তি, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ভবিষ্যৎ সরকারকে দায়ী করা।
-
শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের শহীদদের জাতীয় নায়ক হিসেবে স্বীকৃতি ও আইনি নিরাপত্তা প্রদান ।
-
পরবর্তী নির্বাচনের পর ধর্মঘটে থাকা জাতীয় সংবিধানেও এটি অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রতিশ্রুতি ।
⚖️ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও প্রতিক্রিয়া
-
নতুন জাতীয় চাটার বা সংবিধান খসড়ার খসড়া ২৮ জুলাই, ২০২৫-এ ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় সমন্বয় কমিশনের মাধ্যমে আলোচনা শেষে সম্পন্ন হয় ।
-
বিএনপি’র প্রতিক্রিয়া: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন—“যারা হতাশা প্রকাশ করেছে, আসলে সারা জীবন হতাশ থাকেন।” কিন্তু তিনি নির্বাচনসহ দ্রুত গণতান্ত্রিক ট্রানজিশনের দাবি জানান ।
-
জামায়াত ও এনসিপির ব্যতিক্রমী মন্তব্য: অনুষ্ঠান শেষে বেশ কিছু সমালোচনা উঠেছে—যেমন: খসড়াটি অপরিণত, নিরপেক্ষ আইনগত কাঠামো ছাড়া এটি কার্যকর নয় ।
📊 বিশ্লেষণ ও ভবিষ্যৎ পথ
বিষয় | বিস্তারিত |
---|---|
গোপনীয়তা ও স্বীকৃতি | খসড়া গোপনে প্রস্তুত হলেও রাজনীতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে শেষ সংস্করণটি অনুমোদিত হয়েছে। তবে আলোচনায় অনেকে বাদ পড়েন ভিন্ন কারণে । |
আইনি বাধ্যবাধকতা ও সমন্বয় | শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, কৈ আইনগত ও সাংবিধানিক কাঠামো গ্রহণ না হলে এটি মূল্যহীন প্রতীক মাত্র হবে—বিশেষ করে জামায়াতের মত দলগুলো এই বিরূপতা প্রকাশ করেছে । |
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা | গত এক বছরে সরকার ঘিরে সহিংসতা ও সামাজিক উত্তেজনা বেড়েছে। ১৬ জুলাই, ২০২৫ ঢাকায় সংঘর্ষে কমপক্ষে চারজন নিহত হয়—এর প্রেক্ষিতে নির্বাচনের পূর্বে শান্তি অক্ষরিত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ । |
জুলাই ঘোষণাপত্র’—এটি একটি ঐতিহাসিক প্রয়াস, যেটি বাংলাদেশের ২০২৪ সালের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রাথমিক পদক্ষেপ। এর পরবর্তী কার্যকর ছায়া নির্ভর করবে:
-
তা নতুন সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয় কি না।
-
নিরপেক্ষ ও সময়মতো নির্বাচন বাস্তবায়িত হয় কি না।
-
সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিকূলতার মুখে গৃহীত প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়িত হয় কি না।
0 Comments